প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায়

আপনি কি প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত  আয় করতে চাচ্ছেন। তাহলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য, এই আর্টিকেলের মধ্যে অনেক সহজ উপায় গুলোই আমরা আজকের  জানবো। আজকের এই আর্টিকালে এমন কিছু উপায় শেয়ার করার চেষ্টা করব যেগুলো আপনি অনুসরণ করে। অনায়াসে প্রতি সপ্তাহে  ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করতে সক্ষম হবেন।

প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায়


 আমরা আপনাদের মাঝে এমন কিছু আইডিয়া ও উপায় গুলো জানিয়ে দেওয়ার,চেষ্টা করব যেগুলো অনুসরণ করে আপনি সহজেই অনলাইনে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন। 

 পেজ সূচিপত্র : প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায়

প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করুন 

 আপনাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা স্টুডেন্ট বা শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা চাইলে পড়ালেখার পাশাপাশি ঘরে বসেই, হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়ে সপ্তাহে ৪০০০ টাকা  আয় করতে পরেন। এই আর্টিকালে আমাদের দেখানো উপায় গুলো অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে অনেক সহজেই সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 আমাদের মধ্যে বা আপনাদের মধ্যে দেখা অনেকেই রয়েছেন যা ঘরে বসে হাজার হাজার লাখ টাকা ইনকাম করছে। এত টাকা ইনকাম করছে এর মানে তার সেই সম্পর্কে ধারণা আছে বা তার উপায় জানা আছে। আজকের এই আর্টিকেলে বলবো কম পরিশ্রমে কি করে বেশি টাকা আয় করা যায়। আসুন তা সম্পর্কে জেনে নিই।

এ আই এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে আয় 

 বর্তমানে গোটা বিশ্বে এ আই বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এ আই মানে হল কৃত্রিম বুদ্ধিমতা। এ আই এর মাধ্যমে মানুষ নিজে কাজ করা বাদ দিয়ে মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে কাজ করছে। এর ফলে অল্প সময়ে অনেক পরিমান কাজ করতে পারছে।

 এছাড়া এআইয়ের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ই-বুক তৈরি করে, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করে, এমনকি একটি পুরা ওয়েবসাইট তৈরি করে অনেক সহজে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি এভাবে সহজেই প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করার উপায়  পাবেন বা করবেন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে নিজস্ব কিছু ক্রিয়েটিভ খাটাতে হবে এবং আপনাকে একটু পরিশ্রম করতে হবে। এ আই এর মাধ্যমে আপনি যে সকল উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন, আসুন তা জেনে নিওয়া যাক। 

  •  কনটেন্ট লেখে 
  •  ওয়েবসাইট তৈরি করে 
  •  ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে কাজ করে 0000
  • ই- কমার্স এর প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখে 
  •  ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে ইত্যাদি।

 এই কাজগুলো কম সময়ে আপনি করতে পারবেন। আপনি এ আই কে মুখে বলে বা হাত দিয়ে লিখে অর্ডার করলেই, সে আপনার জন্য সবকিছু নিজে নিজে তৈরি করে দেবে। আপনাকে শুধু কিছু কাজ নিজে থেকে এডিট করে নিতে হবে। অনেক মানুষ এ আই মাধ্যমে অনেক টাকা ইনকাম করছে।

 কন্টেন রাইটিং করে প্রতি সপ্তাহে আয় 

 কন্টেন রাইটিং কি তাও আমরা ভালোভাবে জানি, তাও সংক্ষেপে বলছি কন্টেন রাইটিং কি? কনটেন্ট রাইটিং হলো: সাধারণত বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগিং সাইটে অথবা ওয়েব সাইটে লেখালেখি করাকেই কন্টেন রাইটিং বলা হয়। আপনারা আরেকভাবে বলতে পারেন কন্টেন রাইটিং হলো নিজের জ্ঞান অনুযায়ী বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করা। মূলত যারা লেখালেখি করতে পারে তারাই কনটেন্ট রাইটিং সার্ভিস প্রদান করে। প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা বেশি উপার্জন করতে পারেন তারা। তাই আমরা কন্টেন্ট রাইটিং করেও সপ্তাহে অনেক টাকা আয় করতে পারি।

 বর্তমানে সময় কন্টেন রাইটিং এর সার্ভিস প্রচুর চাহিদা রয়েছে, বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কিত প্ল্যাটফর্ম গুলোতে কন্টেন রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটারদের ব্যাপক ডিমান্ড রয়েছে। আপনি যদি এসইও সম্পূর্ণ কনটেন্ট রাইটিং করতে পারেন তাহলে সপ্তাহে সহজে ৪০০০ টাকা ইনকাম করা যাবে। এখন মূলত নিজের জ্ঞান অনুযায়ী লেখালেখি করে টাকা ইনকাম করতে হয়। আপনি চাইলে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন। নিজে নিজে লিখে না পোস্ট করতে পারেন। এর ফলে অনেক সহজেই আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

 ডাটা এন্ট্রি করে প্রতি সপ্তাহে আয় 

 বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে বর্তমানে সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় কাজ হল ডাটা এন্ট্রি। এটির মাধ্যমে কম সময়ে টাকা রোজগার করা যায়। এক কথায় বলতে পারেন কম পরিশ্রমে। আপনি যদি ফ্রান্সিং না শিখে থাকেন তাহলে ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। কারণ ডাটা এন্ট্রি কাজটি করা খুব সহজ। এই কাজটি একবার দেখলেই শিখে ফেলতে পারবেন। কিন্তু আপনি যদি ডাটা এন্টি কাজ করে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে কম্পিউটার সফটওয়্যার গুলোতে দক্ষ হতে হবে যেমন:

  1.  মাইক্রসফট অফিস
  2. microsoft excle
  3.  ওয়ার্ড ডকুমেন্ট 
  4.  মাইক্রোসফট পাওয়ার পয়েন্ট 
  5.  মাইক্রোসফট ওয়ার্ড প্রজেক্ট ইত্যাদি 

 উপরের এই ডাটা এন্ট্রি কাজগুলো করে প্রতি সপ্তাহে  আপনি ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন  এখন আপনাদের কাছে প্রশ্ন হল ডাটা এন্ট্রির কাজ কোথায় পাবেন, ডাটা এন্ট্রির কাজটি আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে যেমন :  Fiverr. com, Freelance. com, Upwork. com সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে পেতে পারেন। এছাড়াও সরাসরি কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে এই কাজটি নিতে পারেন। কারণ প্রতিটি কোম্পানিতে ডাটা এন্টি কাজের জন্য ডাটা অপারেটর নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে।

 ওয়েবসাইট তৈরি করে প্রতি সপ্তাহে আয় 

 বর্তমানে সময়ে অনেকে ওয়েবসাইট তৈরি করে, এবং সেগুলো ওয়েবসাইট বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করছে। বন্ধুরা আপনার যদি কম্পিউটারে বেসিক স্কিল থাকে এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে বেসিক ধারণা থাকে তাহলে ওয়েবসাইট তৈরি করে। বিক্রি করা আয় করতে পারবেন অনেক সহজে। ওয়েবসাইট তৈরি করতে কোন দক্ষতা প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র কিছু বিষয়ে জানলে ওয়েবসাইট সহজে তৈরি করা যায় আপনি ইউটিউব দেখে অথবা ইন্টারনেটে সার্চ করলেই ওয়েবসাইট তৈরি করার নিয়ম গুলো জেনে নিতে পারেন। আপনি তাদেরকে ওয়েবসাইট তৈরি করে দিয়ে নির্দিষ্ট চার্চ নিতে পারেন।

 বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিষয় গুলো তে বেশ দক্ষ হয়ে থাকে। তাই আপনি যদি শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে এই ওয়েবসাইট বানিয়ে বিভিন্ন প্লাটফর্মে বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। ওয়েবসাইট তৈরি করে কয় বিক্রয় করে সহজে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা পর্যন্ত আয় করা যাবে।

 সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট করে আয়

 আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়াম ম্যানেজমেন্ট এর কাজ করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়ার ফেসবুকে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের বড় বড় পেজ রয়েছে সেগুলোতে পরিচালনা করার জন্য মডারেটরের প্রয়োজন হয়। আপনি সেখানেও কাজ করে সপ্তাহে ৪০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন অনেক সহজে।

 আপনি সেই সকল পেজে মডারেটর হিসেবে কাজ করতে পারেন। এখানে আপনার কাজ হবে এডমিনের নির্দেশনা অনুযায়ী পোস্ট করা কনটেন্ট লেখা ও পেজটি পরিচালনা করা, এভাবে অনেকে বর্তমানে অনলাইনে সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস দিয়ে টাকা উপার্জন করছে। আপনি দিনে কয়েক ঘন্টা সময় দিয়ে এই সোশ্যাল মিডিয়ার ম্যানেজমেন্টের কাজ করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।

 ওয়েবসাইট ডিজাইন করে আয়

 আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনের কাজ দক্ষ থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মে বিদেশীদের সাথে কাজ করুন। বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানি নিজেদের ওয়েবসাইট ডিজাইনের পদে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আপনি তাদের সাথে নির্দিষ্ট চুক্তিবদ্ধ হয়ে ওয়েবসাইট ডিজাইনের সার্ভিস দিতে পারেন তাদেরকে। এবং এইখান থেকে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। যারা ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারেন অর্থাৎ আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভলপার হয়ে থাকেন তাহলে প্রতি সপ্তাহে অনায়াসে চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

  ইভেন্ট  ম্যানেজমেন্ট করে প্রতি সপ্তাহে আয় 

আপনি যদি ইভেন্ট পরিচালনা করার দক্ষতা থাকে তাহলে এই সার্ভিসটি দিয়ে ভাল টাক উপার্জন করতে পারবেন। আপনি চাইলে বিয়ে বাড়িতে, জন্মদিনের অনুষ্ঠান, কর্পোরেট ইভেন্ট ইত্যাদি পরিচালনা করে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এর ফলে আপনি স্টুডেন্ট বা শিক্ষার্থী জীবনে আপনি নিজের হাত খরচটি নিজে জোগাড় করতে পারবেন।

 অনেক সময় বড় ধরনের বিয়ে বাড়িতে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট এর প্রয়োজন হয়। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করে ইভেন্ট পরিচালনা করার জন্য দায়িত্ব নিতে পারেন। এর ফলে আপনাকে অনেক পরিমান প্রফিট দেবে। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কাজটি করতে কোন ধরনের টাকা ইনভেস্ট করতে হয় না। এর ফলে এই কাজটি করে কোন লস হওয়ার কোন সুযোগ নাই। তবে প্রাথমিকভাবে কিছু টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। যদি আপনার সহকর্মী থাকে তাহলে টাকা খরচ করতে হবে। তবে ইভেন্ট যত খরচ হবে সেগুলো ইভেন্ট মালিকের কাছ থেকে নিয়ে করতে পারবেন। এই কাজটি করা ফলে আপনি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন।

 অনলাইনে টিউশনের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে আয় 

 আপনি শিক্ষিত হলে ঘরে বসে অনলাইনে টিউশনি করে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। অনলাইনে টিউশন এর মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করা অবশ্যই সম্ভব, তবে এর জন্য কিছু কৌশল এবং প্রস্তুতির প্রয়োজন বিশেষ করে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের জন্য এটি আয়ের একটি জনপ্রিয় এবং সুবিধা জনক উপায়। আপনি এখন ঘরে বসে অনলাইনে টিউশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি যদি গণিত, বিজ্ঞান বা অন্য কোন কাজ বা বিষয়ে দক্ষ সম্পন্ন হয়ে থাকেন তাহলে অনলাইনে ছাত্র পড়িয়ে বা শিখিয়ে ইনকাম শুরু করতে পারেন।

 যদি আপনি প্রতি ঘন্টা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা চার্জ করেন। তাহলে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা আয় করতে আপনার প্রায়  ১০ থেকে ১২ ঘন্টা পড়াতে হবে। এটি একজন শিক্ষার্থী বা পার্ট টাইম কাজ করা ব্যক্তির জন্য যথেষ্ট সম্ভব। এই কাজ করে অনায়াসে চার হাজার টাকা সপ্তায় করতে পারবেন।

 গ্রাফিক্স ডিজাইন করে প্রতি সপ্তাহে আয় 

 আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং কাজে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে প্রচুর অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। অনেকেই ফ্রান্সিং প্ল্যাটফর্মে এই গ্রাফিক্স ডিজাইন কাজটি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অনলাইনে থেকে টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে প্রথম দেখে হয়তো ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ইনকাম হবে তবে ধীরে ধীরে পরিচিত বাড়লে বিষ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। এর ফলে অল্প সময়ে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 গ্রাফিক্স ডিজাইন সেক্টরে বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে যেমন : পোস্টার ডিজাইন, ব্যানার ডিজাইন, প্রোডাক্ট ডিজাইন, টি শার্ট ডিজাইন ইত্যাদি। আরো গ্রাফিক্স ডিজাইন আপনি অনলাইনে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্রিতে শিখতে পারবেন। অনলাইনে অনেকেই ইউটিউবে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ফ্রি কোর্স করে থাকে, আপনি সেখান থেকে মন চাইলে অল্প সময় শিখে নিতে পারবেন। এবং সপ্তাহে গ্রাফিক্স  ডিজাইন করে। অনায়াসেই চার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

 অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করে আয় 

 আপনি যদি প্রোগ্রামিং ও কোডিং এ দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজগুলো করতে পারেন। একজন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর কাজ হল অ্যাপ তৈরি করা এবং অ্যাপটি সুন্দরভাবে ডিজাইন করা। আপনারা যদি ডেভলপমেন্ট এর কাজ দক্ষ থাকেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে বিদেশীদের সাথে কাজ করুন। এবং অনেক টাকা উপার্জন করুন। বিদেশি কোম্পানিরা নিজেদের অ্যাপ তৈরি করার জন্য অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়োগ দিয়ে থাকে। আপনি তাদের সাথে নির্দিষ্ট এমাউন্ট নিয়ে তাদের একটি ওয়েবসাইট ডিজাইন করে দিতে পারেন। এবং এর ফলে আপনাকে অনেক অর্থ দিবে তারা।

 ফেসবুক মার্কেটিং করে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকায় 

 ফেসবুক পেজে ব্যান্ড প্রমোশন, ও প্রোডাকো  মার্কেটিং করে আয় করা যায়। বর্তমানে অনেক কোম্পানি রয়েছে তারা নিজেদের প্রোডাক্ট গ্রাহকদের কাছে প্রচার করার জন্য ফেসবুক মার্কেটিং এর সহায়তা নিয়ে থাকে। আপনি ইচ্ছে করলে তাদেরকে ফেসবুক মার্কেটিং সার্ভিস দিতে পারেন। এর ফলে আপনি অনায়াসে সপ্তাহে  ৪ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাদের কাছে নির্দিষ্ট চার্জ নিয়ে তাদের পণ্যগুলো গ্রাহকদের কাছে প্রদান করে দিতে পারেন।

 বাংলাদেশে অনেক মানুষ রয়েছে যারা ফেসবুক মার্কেটিং করে অনেক টাকা আয় করছে। তাদের প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা উপার্জন করছে। ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করতে হলে প্রচুর সময় নিয়ে ধৈর্য সহকারে কাজ করতে হবে। অধিক ফলোয়ার যুক্ত একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে। তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং করে প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

 ডিজিটাল মার্কেটিং করে প্রতি সপ্তাহে আয় 

 ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করে খুব সহজে অনলাইনে থেকে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত হলো বিভিন্ন পণ্যর প্রচার-প্রচারণা করা। তাই এই কাজটি ধৈর্য্য সহকারে করলে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা অনায়াসে ইনকাম করা সম্ভব। ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোন পণ্যর প্রচার করাকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কোন পণ্য প্রচার ও ব্যান্ড ভ্যালু বাড়ানোকে ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। আপনি বিভিন্ন কোম্পানির সাথে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজের জন্য চুক্তি করতে পারেন। এবং প্রতি সপ্তাহে ৪০০০ টাকার ওধিক ইনকাম করতে পারবেন।

 অনলাইনে সার্ভে করে প্রতি সপ্তাহে আয়

 বর্তমানে অনলাইনে প্রচুর সার্ভে সাইট রয়েছে যেখান থেকে কিছু দক্ষতা অর্জন করে প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকার বেশি ইনকাম করা সম্ভব। আপনি চাইলে পেইড সার্ভে করতে পারবেন। কারণ পেট সারভেট করলে বেশি টাকা উপার্জন করা যায়। এছাড়াও ফ্রি সার্ভে করে অনলাইন থেকে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করতে পারেন।

 এখানে আপনার কাজ হলেও তাদের প্রশ্নের উত্তরগুলো দেওয়া। তারা মূলত আপনাদের কাছ থেকে তাদের পরিষেবা গুলো সম্পর্কে ফিডব্যাক নিয়ে থাকে। আর এই ফিডব্যাক দেওয়ার বিনিময়ে তারা কিছু টাকা আপনাদেরকে পেমেন্ট করবে। এভাবে সার্ভে সাইটে কাজ করে থাকে। সার্ভে করে আয় করার সাইট গুলো নিচে দেওয়া হল আপনারা পড়ে নিন।

  • Swagbucks
  • Gobranded
  • Pinecone Research
  • Prize Rebel
  • Cash crate
  • Inbox Dollars
  • Univox survey savvy

 লেখকের শেষ মন্তব্য :

 আমরা এতক্ষণ আলোচনা করলাম কিভাবে আপনি প্রতি সপ্তাহে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করবেন। এবং কোন কাজগুলো কিভাবে করলে আপনি সেখান থেকে প্রতি সপ্তাহে কিন্তু প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয় নিয়ে যদি আপনার কোন মন্তব্য থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দিবেন। কারন আমরা প্রত্যেকের কমেন্ট রিভিউ করে থাকি ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হন, তাহলে আপনার বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না।



এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url