আসল তালমিছরি চেনার উপায়

 

আসল তালমিছরি চেনার উপায় এই সম্পর্কে গুগলে অনেকেই সার্চ দিয়ে থাকেন। তাল মিছরি হলো একটি প্রকৃতিক খাদ্য। এর মধ্যে অনেক গুনাগুন এবং পুষ্টি রয়েছে, আজকের এই আর্টিকেলে তাল মিছরির, উপকারিতা, খাওয়ার নিয়ম বিস্তারিত জানবো। তাহলে আসুন যেনে নেওয়া যাক।

আজকের এই আর্টিকেলে আসল তাল মিছরি চেনার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। তাল মিছরি খেলে কি কি উপকার হয়, তা সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে দেরি না করে আসুন আসল তালমিছরি চেনার উপায় সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

 পেজ সূচিপত্র : আসল তালমিছরি চেনার উপায় 

আসল তালমিছরি চেনার উপায় জেনে নিন 

তালমিছরি হলো একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি জাতীয় খাবার। যা তালের রস থেকে তৈরি করা হয় এটা সবাই জানে। এটি যেমন ক্ষেতে সুস্বাদু তেমনি শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তালমিছরি শারীরিক শক্তি বাড়ায় এবং তার পাশাপাশি ঠান্ডা কাশি রোগ থেকে বাঁচাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। বর্তমানে এখন বাজারে ভেজাল তাল মিস্ত্রি পাওয়া যায়। তা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। আসল তাল মিস্ত্রি চেনার জন্য বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য নিচে দেওয়া হলো। আসুন তা জেনে নেওয়া যাক :

  • ধাপ ১: সাধারণত আসল তালমিছরি প্রাকৃতিক তালের রস দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি সাধারণত সঠিকভাবে জমাট বাঁধে। আসল তালমিছরি ভাঙলে মসৃণ এবং সমানভাবে ভেঙ্গে যায়। অন্যদিকে ভেজাল তালমিছরি গুলো, ভাঙলে তার ভেতর ফাঁকা অংশ দেখা যায়।
  • ধাপ ২: আসল তালমিছরির রং সাধারণত সোনালী বা হালকা হলুদ হয়ে থাকে, কেননা এটি প্রাকৃতিক তালের  রস থেকে তৈরি হয়। অন্যদিকে ভেজাল মিছরি দেখতে অনেক চকচকে সাদা রঙের হয়ে থাকে বা খুব গাড়ো রঙেরও হয়ে থাকে।
  • ধাপ ৩: তালমিছরিকে পানিতে গলিয়ে পরীক্ষা করা যেতে পারে। কারণ আসল মিছরি হলে সহজে পানিতে গলে যাবে। অপরদিকে নকল তালমিছরি হলে সহজে গলতে চাই না এবং গলে গেলেও পাত্রের তলাতে অস্বাভাবিক পদার্থ জমতে দেখা যাই।
  • ধাপ ৪: আসল তালমিছরি দাম সাধারণত তুলনামূলক অনেক বেশি। কারণ এটি প্রাকৃতিক তালের রস থেকে দীর্ঘ সময় ধরে তৈরি করা হয়। এর কারণে এটির দাম একটু বেশি। আর যদি আপনি খুব কম দামে পাওয়া যাই তালমিছরি তাহলে সেটি ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।
  • ধাপ ৫: আপনার যে কোন বিশ্বাসযোগ্য স্থানীয় থেকে তালমিছরি সংগ্রহ করা উত্তম। এটি সাধারণত গ্রাম অঞ্চলে নিরর্ভেজাল তালমিছরি পাওয়া যায়। তাই আমরা চেষ্টা করব গ্রাম থেকে নেওয়ার।
  •  আমাদের সবাইকে আসল তালমিছরি চেনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা ভেজাল পণ্যর তালমিছরি খেলে শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এবং নানা অসুখ হতে পারে। তাই আমরা নিরর্ভেজাল তালমিছরি খাওয়ার চেষ্টা করবো। আশা করি উপরোক্ত পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে আপনি সহজে খাঁটি তালমিছরি চিনতে পারবেন।

 তালমিছরি খাওয়ার উপকারিতা 

তালমিছরি একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি জাতীয় খাদ্য। এটি সব মানুষদের জন্যই উপকারী। এটি সব ধরনের মানুষই খেতে পারবে। তাহলে আসুন তালমিছরি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

যাদের অ্যানিমিয়া রয়েছে তাদের জন্য তালমিছরি খুবোই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তালমিছরিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। এর ফলে এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য তালমিছরি খুব বেশি উপকারী করে থাকে। কারণ আয়রন রক্তের লেভেল রাখতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া হাড়ের ক্যালসিয়ামের জন্য বা হাড় মজবুত করতে তালমিছরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 মেয়েদের মেনুপজ হওয়ার পর হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে ও হাড় ভাঙ্গার সম্ভাবনা অনেকটা দেখা যায়। এটি শরীরের জন্য অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। এ হাড় ক্ষয় রোধ করতে নিয়মিত তাল মিশ্রি খাওয়া উচিত।

 তালমিছরি খাওয়ার নিয়ম 

 তালমিছরি একটি প্রাকৃতিক মিষ্টি জাতীয় খাদ্য। এটি প্রাকৃতিক খাটি তালের রস থেকে তৈরি করা হয়। তালমিছরি খাওয়ার সঠিক নিয়ম অনেকেই জানে না, এটি জানা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আসুন তালমিছরি সঠিক নিয়ম জেনে নেওয়া যাক।

  1.  প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ গ্রাম পরিমাণ খেতে হবে। এটি অতিরিক্ত খেলে শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
  2.  আপনি সকালে খালি পেটে ২ থেকে ৩ টুকরো তালমিছরি খেতে পারেন। এটি আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে।
  3.  আপনি যদি প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সাথে তালমিছরি মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরের পুষ্টি জোগাবে এবং শক্তি  শালী করতে সাহায্য করবে।
  4.  তালমিছরি প্রতিদিন খেলে আপনার শরীর ঠান্ডা রাখবে এবং বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ থেকে আপনাকে সাহায্য করবে।
  5.  আপনি যদি তালমিছরিকে গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন  তাহলে আপনার সর্দি কাশি এবং গলা ব্যথা এগুলো রোগ থেকে মুক্তি  পেতে অনেক সাহায্য করে থাকে।

 হাড়ের সমস্যা সমাধান করে তালমিছরি 

হাড়ের সমস্যা সমাধান করে তালমিছরি: তালমিছরিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও পটাশিয়াম থাকে। এর কারণে হাড় ও দাঁত অনেক শক্ত করে থাকে। এবং হাড়ের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে থাকে। আপনি যদি নিয়মিত তালমিছরি খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী হবে। মেয়েদের মেনোপজের পরে থেকে হাড় ক্ষয় হতে শুরু করে, এবং হাড় ভাঙ্গার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি হয়ে পড়ে। এই ক্ষয় রোধ পূরণ করতে আপনি নিয়মিত তালমিছরি খেলে আপনার শরীরের জন্য ভালো। এই দুইটি কারণের জন্য বাচ্চাদেরও অনেক সমস্যা হয়। বাচ্চাদের জন্যও তালমিছরি অনেক উপকারী।

তালমিছরি খেলে সর্দি- কাশি উপশম ঘটে

তালমিছরি খেলে সর্দি- কাশি উপশম করে: তালমিছরি রস খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকারী। যেমন : গলা ব্যাথা কমায়, খুশখুসে কাশি কমায় ইত্যাদি। আপনার যদি সর্দি বা কাশি হয়। তখন যদি এক টুকরো তালমিছরি নিয়ে মুখে দিয়ে চুশেন তাহলে অনেক আরাম পাওয়া যায়। অনেক ছোট বাচ্চাদের জন্য ছোটখাটো অসুখে ওষুধ না ব্যবহার করে। আপনি চাইলে তালমিছরি ব্যবহার করতে পারেন। এটি শরীরের ঠান্ডা লাগাও প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। আপনার যদি অনেক খুশখুশি কাশি হয় বা কাশতে কাশতে গলা ব্যথা হয়। তাহলে আপনি এক টুকরো  তালমিছরি সাথে একটি গোলমরিচ আর ঘি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে। দুই চামচ খেতে পারলে আপনার গলা ব্যথা এবং কাশি থেকে মুক্তি পাবেন। তালমিছরি প্রতিদিন খাওয়া শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটি শরীরকে সুস্থতা প্রদান করে।

 মাথা ধরা নিয়ন্ত্রণ করে তালমিছরি

 মাথা ধরা নিয়ন্ত্রণ  : অনেক সময় ধরে ফোন টিপলে আপনার মাথা ধরতে পারে। বা সর্দি লাগলে মাথা ধরা খুব সাধারন একটি ব্যাপার। অনেক মানুষ এই সমস্যায় ভোগে থাকেন। আপনি যদি আদা আর রসুনের সাথে ৫ থেকে ৭ গ্রাম তালমিছরি ভালো করে মিশিয়ে খেতে পারেন তাহলে মাথা ধরা থেকে উপশম মিলবে। আপনি যদি তুলসী পাতা এবং তালমিছরির সাথে একটি গোল মরিচ একসাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীরে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।

 তালমিছরি গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের 

 গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে শরীরের : তালমিছরিতে কম পরিমানে জি আই এর পরিমাণ কম থাকে। যেমন এর ভিতর পাওয়া যায়  চিনি, মধু ইত্যাদি। এর কারণে জি আয় অনেক কম থাকে। এর কারণে আমাদের শরীরের কার্বোহাইড্রেড কম উৎপন্ন হয়। এর ফলে আমাদের রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা কে বাড়াতে দেয় না। এটার কারণে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ এর সহায়তাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 কোষের সুরক্ষা করতে ভূমিকা পালন করে তালমিছরি

 নির্ভেজাল তালমিছরি তৈরি করতে কোনরকম কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। তালমিছরিত একটি প্রাকৃতিক খাবার হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে অনেক গুণাগুণ রয়েছে যেমন : ভিটামিন, পটাশিয়াম, আয়রন, ফসফরাজ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, কপার ইত্যাদি অনেক রকম গুনাগুন এর মধ্যে রয়েছে। যা আমাদের শরীরের কোষগুলোকে সুস্থতা প্রদান করে। এবং আমাদের শরীরের সুস্থ কোষ গঠন করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া আমাদের শরীরে অ্যামিনো ও এসিড শরীরের প্রোটিন ব্লগ তৈরি করে যা কোষগুলোকে সুস্থ রাখতে অনেক সাহায্য করে থাকে।

 গলা ব্যথা কাশি উপশমের সহায়ক করে তালমিছরি

 দীর্ঘদিন ধরে গলা ব্যথা খুসখুসে কাশি, শুকনো কাশি ইত্যাদি। এই সকল অসুখ প্রতিকার হিসেবে ব্যবহার করা হয় তাল মিছরি কে। তালমিছরি আপনার গলার মিউকাস মেমব্রেন এ আরাম দেয় এবং প্রদাহ  কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। ঠান্ডা লাগা বা ইনফ্লুয়েঞ্জার সময় বা অনেক গলা ব্যথা হচ্ছে, একটু পরপর কাশি হচ্ছে। এর জন্য আপনি মুখের ভেতরে এক টুকরো তালমিছরি রেখে চুষেলে কিছুটা ঠান্ডা অনুভূতি হয় এবং আপনার কাশি কমাতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিশেষ করে গরম দুধের সাথে এক টুকরো তালমিছরি মিশিয়ে খেতে পারলে আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকার হবে।

 হজম শক্তি বাড়াতে কাজ করে তালমিছরি 

তালমিছরির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এটি হজম প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধি করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাহায্য করে থাকে। খাবার খাওয়ার পরে এক টুকরো তালমিছরি খেলে, আপনি বদহজম থেকে মুক্তি পাবেন। এবং পেটের ভরা ভরা ভাব কমে এবং পেট হালকা করে। তালমিছরি পেটের পাচনতন্ত্র এর এনজাইম গুলোকে সক্রিয় করে থাকে। এর ফলে খাবার দ্রুত ভেঙে গিয়ে শরীরের শোষিত হয়। এবং রক্তের সাথে তাড়াতাড়ি মিশে যায়। এর ফলে আপনি অনেক পরিমাণ শক্তি পেয়ে থাকেন।

 মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে তালমিছরি

তালমিছরিতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি এবং মধু রক্তের সাথে দ্রুত শোষিত হয় এবং মস্তিষ্কের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি যোগায়। এর ফলে মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি এবং মানসিক কার্যক্ষমতা অনেক পরিমাণে বৃদ্ধি পায়ে থাকে। পড়াশোনা বা মানসিক পরিশ্রমের সময়  তালমিছরিন ছেলে মাথা ঠান্ডা থাকে এবং মনোযোগ বৃদ্ধের অনেক সহায়তা করে থাকে। তালমিছরি মানসিক চাপ কমাতেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 মানব শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে তালমিছরি

তালমিছরি প্রাকৃতিক  জাতীয় খাদ্য। এর মধ্যে প্রাকৃতিক গুনাগুন শক্তির উৎস অনেক  হয়ে থাকে। এর মধ্যে থাকা সহজপাচ্য চিনি এবং মধু শরীরকে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায়। যারা মাঠে-ঘাটে অনেক পরিমাণে পরিশ্রম করে থাকে। বা দুর্বলতা বা ক্লান্তি অনুভব করে। তাদের জন্য তালমিছরি একটি আদর্শ খাবার। তালমিছরি শরীরকে ক্লান্তি ও দুর্বল এর হাত থেকে রক্ষা করে থাকে এবং মনকে সতেজ করে রাখে। এর জন্য আমাদের নিয়মিত তালমিছরি খাওয়া শরীরের জন্য অনেক উপকার।

 শরীরের ঠান্ডা রাখতে সহায়ক করে তালমিছরি

তালমিছরি শরীরের ভেতরকার তাপমাত্রার নিয়ন্ত্রণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। গ্রীষ্মকালে  তালমিছরি শরীর ঠান্ডা রাখতে অনেক সাহায্য করে। এবং অতিরিক্ত ঘাম প্রতিরোধ করে। যারা অতিরিক্ত গরমের কারণে হিটস্ট্রোক বা ক্লান্তিতে ভোগেন তাদের জন্য তালমিছরির শরবত খুব উপকারী। এটি শরীরের প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য বজায় রাখে। এবং শরীর ঠান্ডা করতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 লেখকের শেষ মন্তব্য : আসল তালমিছরি চেনার উপায়

আশা করি উপরের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনি সম্পূর্ণ বুঝতে পারবেন। উপরে তালমিছরি চেনার উপায় এবং তালমিছরি নিয়ে বিস্তারিত সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করি সম্পূর্ণ বুঝতে পারবেন। আপনি যদি এই আর্টিকেলটি পড়ে উপকৃত হন। তাহলে বন্ধুদের কাছে শেয়ার করতে ভুলবেন না। পরবর্তী আর্টিকেল নিয়ে আপনাদের মাঝে দেখা হবে ধন্যবাদ।





এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url